বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং বেশিরভাগ সময় এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্য থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তবে সেগুলোর ফলাফল থেকে আমরা কী উপসংহারে আসতে পারি? মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস পেয়েছে, যা পাউন্ডের জন্য বিয়ারিশ, কারণ এটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে দ্রুত সুদের হার কমানোর ব্যাপারে উত্সাহিত করতে পারে। এছাড়া, নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কার্যত কোনো উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখাতে পারেনি। শিল্প উৎপাদন, যা প্রায়ই হ্রাসের মুখোমুখি হয়, এবারও ০.৪% হ্রাস পেয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে, পাউন্ডের শক্তিশালী হওয়ার কোনো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও কমিয়ে দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এই সপ্তাহের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন GBP/USD-এর দরপতনের ধারাবাহিকতা নির্দেশ করছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার কেবল একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা সন্ধ্যার দিকে পাওয়া যায় এবং এটি যথেষ্ট স্পষ্ট ছিল না। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে, মূল্য 1.2241-1.2270 জোনে পৌঁছায় কিন্তু এটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়। যদিও কোনও স্পষ্ট রিবাউন্ড দেখা যায়নি, তবে আজও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও ডলারের পক্ষে এবং পাউন্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছে। 1.2170 লেভেলের কাছে একটি শক্তিশালী বাই সিগন্যাল তৈরি হতে পারত; তবে, মূল্য মাত্র ৪ পিপসের জন্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। মধ্যমেয়াদে, 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে আমরা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি, কারণ আমাদের মতে এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তাই, আমরা এই পেয়ারের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে সবসময় প্রযুক্তিগত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা উচিত। এই সপ্তাহে পাউন্ডের ধারাবাহিক দরপতনের যৌক্তিকতা আরও জোরালো হয়েছে এবং এতে কোনো বাধা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শান্ত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষপট এই পেয়ারের মূল্যের 1.2241 এবং 1.2270-এর মধ্যবর্তী রেসিস্ট্যান্স জোন ব্রেকের সুযোগ তৈরি করতে পারবে না। ফলে, আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিংয়ের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা পাউন্ডের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং ভবন নির্মাণ অনুমোদন সংক্রান্ত দুটি তুলনামূলকভাবে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।